খরগোশের গোশত খাওয়ার বিধান কী?
- খরগোশ নিরীহ ও ক্ষুদ্র প্রাণী। এরা অধিক উৎপাদনশীল হয়, ফলে প্রতি মাসেই বাচ্চা দেয় এবং দ্রুত বেড়ে ওঠে। মাত্র তিন মাস বয়সে পূর্ণ বয়স্ক হয়ে বাচ্চা জন্মদানে সক্ষম হয়ে থাকে। এর মাংস বেশ সুস্বাদু বিধায় বিশ্বজুড়েই এর মাংস ও চামড়ার ভালো চাহিদা রয়েছে।
- খরগোশের মাংস মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমকা রাখে। আল্লাহ তায়ালার বিশেষ একটি নেয়ামত এসব আমিষজাতীয় প্রাণির মাংস। কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন চতুষ্পদ জন্তু, এতে তোমাদের জন্য রয়েছে শীত থেকে বাঁচার উপকরণ, তা ছাড়া আরো বহু উপকার রয়েছে এবং তা তোমরা খাদ্যবস্তু হিসেবে গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল : ৫)।
- খরগোশের গোশত খাওয়া জায়েজ। হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘মাররূয যাহরান’ নামক স্থানে আমরা একটি খরগোশ ধাওয়া করলাম। আমার সঙ্গে থাকা লোকজন অনেক চেষ্টা করে ক্লান্ত হয়ে পড়লেন। অবশেষে আমি তাকে ধরে ফেললাম এবং আবু তালহার নিকট নিয়ে গেলাম। তিনি সেটিকে জবাই করলেন ও তার রান দুটি কিংবা তার সামনের পা দুটি নবীজির (সা.) জন্য হাদিয়া স্বরূপ পাঠিয়ে দিলেন। তিনি তা গ্রহণ করলেন।’ (বুখারি, মুসলিম; মিশকাত : ৪১০৯)।
- নাসায়ি শরিফের আরেক হাদিসে এসেছে, এক গ্রাম্য ব্যক্তি ভূনা করা খরগোশের গোশত সঙ্গে রুটি নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে এনে বললো, আমি এর হায়েজ (ঋতুস্রাব) হতে দেখেছি। তখন প্রিয় নবী (সা.) সাহাবীদের বললেন, কোনো সমস্যা নেই, তোমরা খাও এবং গ্রাম্য ব্যক্তিকে বললেন, খাও। (নাসায়ি : ২৪২৭)