• ||
  • Wednesday, January 22nd, 2025
  • ||

সেহেরী যেন হয় সংযমের

সেহেরী যেন হয় সংযমের

ভূমিকাঃ রমজান মাস তাকওয়ার মাস। রমজান সহমর্মিতার ও গরিবের কষ্ট অনুভব করার এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানানোর মাস। এ জন্যই রমজান মাসে কম খাওয়া ও সংযম অবলম্বন করা জরুরি। বছরের এগারোটি মাস আমরা নিয়মিত তিন বেলা, কখনো কখনো চার বেলা খেয়ে থাকি। রমজান মাসে খাওয়াদাওয়া হলো দুই বেলা। সুতরাং অন্য মাসের খাদ্যব্যয় যা হতো, রমজান মাসে তার চেয়ে অনেক কম ব্যয় হওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের সমাজের চিত্র ভিন্ন! রমজান মাসে আমাদের খাওয়ার পরিমাণ যেন আরও বেড়ে যায়।

হাদিস কি বলেঃ রমজান মাসে যে দুটি ইবাদত অর্থ ও খাদ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তা হলো সাহ্‌রি খাওয়া ও ইফতার করা। সাহ্‌রি একটি সুন্নত ইবাদত।হাদিসে বলা হয়েছে, ‘সেহরি খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সেহরি কর। কারণ যারা সেহরি খায় আল্লাহ তায়ালা তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তার ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। ’ -মুসনাদে আহমদ: ৩/১২; মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: হাদিস নং ৯০১০; সহিহ ইবনে হিব্বান: হাদিস নং ৩৪৭৬

এই সাহ্‌রির ইবাদতও আজকাল ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাহরিতে খাবারের আধিক্য, বিলাসিতা ও অপচয় এর ভাবগাম্ভীর্যতাকে ক্ষুণ্ণ করে।এভাবেই আমরা অনেকেই সাহ্‌রি ইবাদতকেও খাওয়ার উৎসব করে ফেলেছি। এর মাধ্যমে মূলত সাহ্‌রির সুন্নত আমলকে অসম্মান করা হচ্ছে।

উপসংহারঃ মনে রাখতে হবে, রমজান মাস ত্যাগের মাস, ভোগের নয়। তাই রমাজানে সকল ইবাদতেই আমাদেরকে সংযমী হতে হবে।

comment
Comments Added Successfully!