সুদ-ঘুষ বর্জন রমজানের অর্জন
ভূমিকাঃ রমজান হলো তাকওয়ার প্রশিক্ষণ। লক্ষ্য হলো রমজান ছাড়া বাকি ১১ মাস রমজানের মতো পালন করার সামর্থ্য অর্জন করা, দেহকে হারাম খাদ্য গ্রহণ ও হারাম কাজ থেকে বিরত রাখা এবং মনকে অপবিত্র চিন্তাভাবনা, হারাম কল্পনা ও পরিকল্পনা থেকে পবিত্র রাখা।
কোরআন কি বলেঃ এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে সুরা বাকারায় আল্লাহ তাআলা বলেছেন- ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি; আশা করা যায় যে তোমরা তাকওয়া অর্জন করবে।যথাযথভাবে এই তাকওয়া অর্জন করতে হলে আমাদের হালাল উপার্জন এবং হালাল খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই সুদ-ঘুষসহ সকল প্রকার হারাম উপার্জন থেকে বেঁচে থাকার সুদৃঢ় প্রচেষ্টা ও প্রশিক্ষণ মহিমান্বিত এই মাস থেকেই গ্রহণ করা আবশ্যক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম। ’ -সূরা বাকারা: ২৭৫
উপসংহারঃ রোজাদারদের চোখকে খারাপ জিনিস দেখা থেকে বিরত রাখতে হবে। পা-কে অসৎ কাজে অগ্রসর হতে বাধা দিতে হবে। হাতকে চুরি, ডাকাতি, ঘুষ-দুর্নীতি, ছিনতাই, রাহাজানি, খুন-খারাবি, ধর্ষণ, অপহরণ, মজুতদারি, চোরাকারবারিসহ সব ধরনের অবৈধ কাজকর্ম থেকে বা হারাম খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে হবে। কানকে নিষিদ্ধ কোনো কিছু শোনা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। মনকে কামনা-বাসনা, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসামুক্ত রেখে মৃত্যু ও পরকালীন হিসাব-নিকাশের কথা সর্বদা স্মরণে রেখে আল্লাহভীতি বা তাকওয়া অর্জনে উন্মুখ হতে হবে। এভাবে মাহে রমজানের কঠোর সংযম সাধনা ও নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করতে হবে আগামী ১১টি মাস। তাহলেই সিয়াম পালন ও সংযম সাধনা পূর্ণাঙ্গ হবে।