সওয়াবের বসন্তকাল রমজান
ভূমিকাঃ মুমিন-মুসলিমদের জীবনে সেরা মাস রমজান। জীবনের গুনাহ থেকে পরিত্রাণ ও পবিত্র হওয়ার সুবর্ণ সময়। রহমত, মাগফিরাত আর বরকতের বারিধারা নিয়ে হাজির হওয়া মাহে রমজানে বান্দা নিজেকে সঁপে দেন প্রভুর দরবারে। আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের মাধ্যমে অর্জন করেন রাশি রাশি সওয়াব।
কোরআন কি বলেঃ রমজান মাসে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। ( বাকারা : ১৮৫)রমজান মাসেই লাইলাতুল কদর লাভ হয়। আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসের ফজিলত বৃদ্ধি করেছেন লাইলাতুল কদরের মাধ্যমে। এই রাতে মানুষের পাপসমূহ ক্ষমা করা হয়। সওয়াব বৃদ্ধি করা হয়। (সুরা কদর : ১-৫)
হাদিস কি বলেঃ নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাস আগমন করলে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদেরকে বেড়ি পরিয়ে রাখা হয়।’ (মুসলিম : ১০৭৯)
আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসের প্রতিদিন ও রাতে জাহান্নামিদের মুক্তি দেন। রমজানের প্রতিদিন ও রাতে মুসলমানের দোয়া কবুল করা হয়।’ (মুসনাদে আহমদ : ৬৬৪) অন্য একটি হাদিসে এসেছে, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবে আশায় রমজান মাসে রোজা পালন করবে, তার পেছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবে আশায় লাইলাতুল কদরে ইবাদত করবে, তারও পেছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।’ (বুখারি : ২০১৪) নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস পেল কিন্তু নিজেকে গুনাহ মুক্ত করার পূর্বেই রমজান বিদায় গ্রহণ করল, সে ব্যক্তি দুর্ভাগা।’ (মুসলিম : ৭৫৯)
উপসংহারঃ রোজা ও কোরআন রোজাদারের জন্য কিয়ামতের ময়দানে সুপারিশ করবে। তাই পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে “সওয়াবের বসন্তকাল রমজান”।