রোজাদারের টাইমপাস
রমজান মুমিনের জন্য প্রশিক্ষণকাল। এই মাসে মুমিন সুনিয়ন্ত্রিত পুণ্যময় জীবনে অভ্যস্ত হয় এবং বছরের অন্য মাসগুলো সে অনুযায়ী জীবন যাপন করে। সুতরাং রমজানে মুমিন আল্লাহর আনুগত্য, পুণ্যের কাজ, ইবাদত, প্রবৃত্তিপূজা ও আল্লাহর অবাধ্যতা পরিহারের অনুশীলন করে।
ক. রমজানে মুমিনের সকাল
১. ফজরের সুন্নত : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ফজরের দুই রাকাত সুন্নত দুনিয়া ও তার মধ্যে যা আছে তা থেকে উত্তম। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭২৫)
২. জামাতে ফজর আদায় : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রাতের আঁধারে মসজিদে আগমনকারীদের কিয়ামতের দিন পূর্ণ আলো লাভের সুসংবাদ দাও। ’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৫৬১)
৩. জিকির ও তাসবিহ পাঠ : ফজরের নামাজের পর পুরুষরা মসজিদে এবং নারীরা জায়নামাজে বসে জিকির, তিলাওয়াত ও তাসবিহ পাঠ করবে। কেননা ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ফজর নামাজ শেষে সূর্য পরিপূর্ণ উদিত হওয়া পর্যন্ত চারজানু হয়ে স্বস্থানে বসে থাকতেন। ’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৮৫০)
খ. রমজানে মুমিনের দুপুর
১. হালাল জীবিকার অনুন্ধান : কারো উপার্জন হারাম হলে রমজানে সে তা থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করবে।
২. জোহরের নামাজের প্রস্তুতি : জোহরের আজানের উত্তর দেওয়া, নামাজের প্রস্তুতি নেওয়া ও জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা।
৩. পারিবারিক কাজে সহযোগিতা : আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী (সা.) জুতা ঠিক করতেন, কাপড় সেলাই করতেন এবং তোমরা যেমন ঘরে কাজ করো তেমনি কাজ করতেন। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৫৩৮০)
গ. রমজানে মুমিনের বিকেল
১. আসরের নামাজের প্রস্তুতি
২. মসজিদে দ্বিনি মজলিসে অংশ নেওয়া
৩. কোরআন তিলাওয়াত
৪. সাদাসিধে ইফতার : মহানবী (সা.) খুবই সাদাসিধে ইফতার পছন্দ করতেন। আবদুল্লাহ বিন আবি আউফ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রোজায় আমরা রাসুল (সা.)-এর সফরসঙ্গী ছিলাম। সূর্যাস্তের সময় তিনি একজনকে ডেকে বলেন, ছাতু ও পানি মিশিয়ে ইফতার পরিবেশন করো। ’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ১০৯৯)
ঘ. রমজানে মুমিনের রাত
১. মাগরিব নামাজের প্রস্তুতি
২. জিকির ও তাসবিহ পাঠ
৩. পরিবারে দ্বিনচর্চা : আল্লাহ বলেন, ‘তুমি উপদেশ দিতে থাকো। কেননা উপদেশ মুমিনদেরই উপকারে আসে। ’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ৫৫)
৪. এশার নামাজের প্রস্তুতি
৫. জামাতের সঙ্গে তারাবির নামাজ আদায়
৬. তাহাজ্জুদ আদায় ও সাহরি খাওয়া
মহান আল্লাহ আমাদের রমজানকে তাঁর পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি ও নেয়ামতের দ্বারা আচ্ছাদিত করুন। আমিন।