রমজান: কোরআন নাজিলের মাস
ভূমিকাঃ মানবজাতির মুক্তি ও কল্যাণের জন্য পবিত্র রমজান মাসে শবে কদরের রাতেই বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ মহাগ্রন্থ আল কোরআন নাজিল হয়।
কোরআন কি বলেঃ কোরআন শব্দটি কারউন ধাতু থেকে এসেছে। যার অর্থ জমা করা, একত্রিত করা। আল কোরআনে পূর্ববর্তী সব কিতাবের সারবস্তু ও সারা জাহানের যাবতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান একত্রিত করা হয়েছে। আল কোরআনে বলা হয়েছে, ‘এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমারই দায়িত্ব। অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি তখন আপনি সে পাঠের অনুসরণ করুন।’ (সুরা আল কিয়ামাহ : ১৭ ও ১৮ আয়াত) রমজান মাসের শবে কদরের রাতেই আল কোরআন নাজিল করা হয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘রমজান মাস, যে মাসে মানুষের হেদায়েতের জন্য, হেদায়েতের সুস্পষ্ট প্রমাণাদি ও সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী হিসাবে নাজিল করা হয়েছে আল কোরআন।’ (সুরা আল বাকারা- ১৮৫ )
হাদিস কি বলেঃ আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, রোজা ও কোরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে আল্লাহ! আমি তাকে দিনের বেলায় খানা পিনা থেকে বিরত রেখেছি। কাজেই তার বিষয়ে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। কুরআন বলবে, হে পরওয়ারদিগার! তাকে আমি রাতের বেলায় নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি, কাজেই তুমি আমার সুপারিশ কবুল কর। এমতাবস্থায় আল্লাহ উভয়ের সুপারিশ কবুল করবেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, যার অন্তরে কোরআনের কোন শিক্ষা নাই তা বিরাণ ঘর সমতুল্য।
কোরআন পড়া, বোঝা এবং সে অনুযায়ী চলা সবার জন্য ফরজ। কোরআন তেলাওয়াত যথাযথ ও সহিহ-শুদ্ধ না হলে নামাজও হবে না। কোরআন শিক্ষার মাধ্যমেই মানুষের জীবন সুন্দর ও আদর্শমণ্ডিত হয়।
উপসংহারঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে কোরআন বোঝার ও কোরআনের শিক্ষা অনুযায়ী চলার তওফিক দান করুন। আমীন।