• ||
  • Wednesday, January 22nd, 2025
  • ||

আশুরার রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত

আশুরার রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত

জুনাইদ সাঈদ

আজ মহররম মাসের ৮ তারিখ। ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা। মহররমের ১০ তারিখ (আশুরার দিন) অত্যন্ত তাৎপর্য এবং মাহাত্ম্যপূর্ণ দিন। এ দিনে রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে এ দিনে রোজা রেখেছেন এবং স্বীয় উম্মতকে রোজা রাখার প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে রমজান এবং আশুরায় যেমন গুরুত্বের সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ (বুখারি : ২০০৬)
     
হজরত আলী (রা.)-কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলেন, রমজানের পর আর কোনো মাস আছে, যাতে আপনি আমাকে রোজা রাখার আদেশ করেন? তিনি বললেন, এ প্রশ্ন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট জনৈক সাহাবি করেছিলেন, তখন আমি তাঁর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন, রমজানের পর তুমি যদি রোজা রাখতে চাও, তবে মহররম মাসে রাখো। কারণ, এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তায়ালা একটি জাতির তওবা কবুল করেছিলেন এবং ভবিষ্যতেও অপরাপর জাতির তওবা কবুল করবেন।’ (তিরমিজি : ৭৪১)
     
মহররমের ১০ তারিখে রোজা রাখার পাশাপাশি এর আগে বা পরে একটি রোজা অতিরিক্ত রাখতে বলা হয়েছে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় এসে দেখেন, ইহুদিরা আশুরার দিনে রোজা পালন করে। তিনি তাদেরকে বলেন, এ দিনটির এমন কী মাহাত্ম্য যে তোমরা রোজা পালন কর? তারা বলে, এ দিনে আল্লাহ মুসা (আ.) ও তার জাতিকে মুক্তি দান করেন এবং ফেরাউন ও তার জাতিকে নিমজ্জিত করেন। এ জন্য মুসা (আ.) কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এ দিন রোজা পালন করেছিলেন। তাই আমরা এ দিন রোজা পালন করি। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, মুসা (আ.)-এর বিষয়ে আমাদের অধিকার বেশি। এরপর তিনি এ দিন রোজা পালন করেন এবং রোজা পালন করতে নির্দেশ প্রদান করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ইনশাল্লাহ আগামী বছর আমরা মহররমের নবম তারিখেও রোজা রাখব। (মুসলিম : ১৯১৮)
     
এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, নবীজি (সা.) আমাদেরকে বিজাতীয় সাদৃশ্য পরিহার করার শিক্ষা দিয়েছেন। তাই প্রথমত আমাদেরকে আশুরার রোজা একটির পরিবর্তে দুটি রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবনের সব ক্ষেত্রে অমুসলিমদের সাদৃশ্য অবলম্বন পরিহার করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের মহররম মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার এবং আশুরার তাৎপর্য অনুধাবন করে তদনুযায়ী আমল করার এবং সব ধরনের গুনাহ বর্জন করার তাওফিক দান করেন।

comment
Comments Added Successfully!