একসঙ্গে একাধিক আজান হলে জবাব দেবেন কীভাবে
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে আজানের বিধান রয়েছে। আজানের জবাব দেওয়াও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। যখন আজান হয় তখন কোরআন তেলাওয়াত বন্ধেরও নির্দেশ এসেছে। হাদিস শরিফে এসেছে, যে ব্যক্তি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত আজানের জবাব দেবে, আজানের পর দুরূদ ও দোয়া পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে দুনিয়ার জীবনে পরিশুদ্ধ করবেন এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাল কেয়ামতের ময়দানে সুপারিশ করে তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবেন।
একজন মুসলমানের জন্য এর চেয়ে সৌভাগ্যের বস্তু আর কিছুই নেই। তবে প্রশ্ন হলো- মসজিদের নগরী ঢাকার চারদিকে অসংখ্যা মসজিদ। কাছাকাছি সময়েই বেজে উঠে মুয়াজ্জিনের সুর। এত আজানের ভিড়ে জবাব দেবেন কোনটা?
এ প্রসঙ্গে ফাতাওয়াগ্রন্থে এসেছে, সব আজানের জবাব দেয়াই উত্তম। তবে একসঙ্গে আজান হওয়ার কারণে সব আজনের জবাব দেওয়া না গেলে সর্বপ্রথম যে আজান শোনা যাবে তার জবাব দেওয়া অধিক যুক্তিসঙ্গত। প্রথম আজান নিজ মহল্লার মসজিদের হোক বা অন্য মসজিদেরই হোক। (ফাতাওয়া শামি : ১/৩৬৯; আহসানুল ফাতাওয়া : ২/২৯২)।
আজানের জবাব দেওয়ার নিয়ম হলো, মুয়াজ্জিন আজানে যা যা বলবেন তার সঙ্গে তাই বলতে হবে। শুধুমাত্র ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ যখন বলবেন তখন জবাবে সেটা না বলে বলতে হবে, ‘লা হাউলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।’।