মিলেমিশে থাকার সওয়াব
- পৃথিবীতে পরস্পরে মিলেমিশে থাকার গুরুত্ব অনেক। বিশেষত ঈমানদারেরা পরস্পর হাসি মুখে সাক্ষাৎ করবে। সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকবে। এতে পার্থিব জীবন যেমন সুখের হবে, পরকালের অ্যাকাউন্টেও জমা হবে সওয়াব ও পুরস্কার। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের কোনো মুসলিম ভাইকে খুশি করার জন্য এমনভাবে সাক্ষাৎ করে, যেমনটি সে নিজের জন্য পছন্দ করে; কেয়ামতের দিন এর বিনিময়ে আল্লাহ তাকে খুশি করবেন।’ (তাবারানি : ১১৭৮; মাজমাউজ জাওয়ায়েদ : ১৩৭২১)।
- হযরত আবু যার (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। তোমার সৎকাজের আদেশ এবং তোমার অসৎকাজ হতে বিরত থাকার নির্দেশ তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। পথহারা লোককে পথের সন্ধান দেয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ, স্বল্প দৃষ্টি সম্পন্ন লোককে সঠিক দৃষ্টি দেয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। পথ হতে পাথর, কাঁটা ও হাড় সরানো তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। তোমার বালতি দিয়ে পানি তুলে তোমার ভাইয়ের বালতিতে ঢেলে দেয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। (তিরমিযি ১৯৫৬)
- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেব না, কোন ব্যক্তির জন্য জাহান্নাম হারাম এবং জাহান্নামের জন্য কোন ব্যক্তি হারাম? জাহান্নামের আগুন এমন প্রতিটি লোকের জন্য হারাম, যে মানুষের কাছাকাছি থাকে, সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকে; যে কোমলমতি নম্র প্রকৃতির ও মধুর স্বভাববিশিষ্ট।’ (তিরমিজি : ২৪৮৮)
- লেখক : তাশফিক মুহাম্মদ